সাত থেকে আট জন তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে আসবেন : দাবী সৌমিত্র খাঁ এর

16th January 2021 11:52 am বাঁকুড়া
সাত থেকে আট জন তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে আসবেন : দাবী সৌমিত্র খাঁ এর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, অপরুপা পোদ্দার, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সাত থেকে আট জন তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে আসার অপেক্ষায় আছেন। দাবি বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর। শনিবার দলের তরফে 'যুব চেতনা ও শ্রমদান' কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে শহরের জোড় শ্রেণীর মন্দির
প্রাঙ্গন পোড়ামাটির হাটের মাঠ পরিস্কারের কাজে যোগ দিয়ে তিনি এই দাবি করেন। একই সঙ্গে নিজের বক্তব্যের সমর্থণে বলতে গিয়ে এদিন তিনি আরো বলেন, এই ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দিরে দাঁড়িয়ে আমি যখন বলেছিলাম শুভেন্দু অধিকারী আমাদের দলে আসছেন, তখন তৃণমূল হেসেছিল। কাল শতাব্দী রায়কে 'দিদি অভিনয় করে আটকালেন'। কিন্তু উনি আসবেন। দাবী বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির।

এদিন সাত সকালে ঝাঁটা হাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুর শহরের জোড় মন্দির প্রাঙ্গনে পোড়া মাটির হাট পরিস্কারের কাজে হাত লাগালেন তিনি। পোড়া মাটির হাটের মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাষ্টিক, থার্মোকল থেকে ভ্রাম্যমাণ সুলভ শৌচাগার সর্বত্রই পরিস্কার কাজ করলেন তিনি।

বিজেপি সূত্রে খবর, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে ১২ জানুয়ারী থেকে ২৩ জানুয়ারী পর্যন্ত 'যুব চেতনা ও শ্রমদান' কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। সেই কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় এই কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।